নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কৃষকের উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে।’
খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং এজন্য গবেষণাও বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত খাদ্যশস্য সংগ্রহ, খাদ্যের নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা এবং সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত।’
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি হ্রাস, জলবাযু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও খাদ্য উৎপাদন ২০১৪ সালে তিন কোটি ৫৫ লাখ মে. টনে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে ২০১২ সালের পর সরকারি খাতে চাল আমদানি করতে হয়নি। বরং শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার মে. টন চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে।’
শেখ হাসিনা জানান, ২০০৬ সালে একজন শ্রমিক যেখানে গড়ে সাড়ে তিন কেজি চাল ক্রয় করতে পারত সেখানে তারা এখন ১০ থেকে ১২ কেজি চাল কিনতে পারে।
দুর্যোগ মোকাবেলা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত আপতকালীন খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খাদ্য মজুদ ক্ষমতা ১৪.৬ লাখ মে. টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ লাখ মে. টনে উন্নীত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ২০৩১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।’
তিনি বলেন, ‘আর্ত সামাজিক উন্নয়ন নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রোল মডের। আমরা খাদ্যের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, তথ্য প্রযুক্তিসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি।’
এসময় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সাল হতে বিদেশ থেকে সরকার কোনো চাল আমদানি করেনি। বর্তমানে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯১৫ লাখ মে. টন, যা বিগত বছরের তুলনায় তিন লাখ মে. টন বেশি।’