ঢাকাসোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছাত্রলীগ নেত্রী বলে দায়মুক্তি!

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Dabi-BSLঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ১২ শিক্ষার্থীকে তালাবদ্ধ করে রাখলে ছাত্রলীগ নেত্রী মারুফা নাবিলার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওই মারুফা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতা বলে তাকে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে রাতভর ১২ শিক্ষার্থীকে তালাবদ্ধ করে রাখেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফা নাবিলা। পরদিন সাংবাদিকদের চাপের মুখে দুপুর ১২টায় তিনি তালা খোলেন।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, নাবিলা প্রায়ই অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু ছাত্রলীগের নেত্রী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলে না। দিন দিন তার অত্যাচারের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এরকম একটা ঘটনার শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অধিকার কারোই নেই। শাস্তি না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে।
এদিকে ১২ জনকে তালাবদ্ধ করে রাখার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী দাবি করে বলেন, ঘটনাটি তারা সঙ্গে সঙ্গে প্রভোস্ট ম্যাডামকে জানিয়েছি।
নাবিলার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে, হল প্রাধ্যক্ষ (প্রভোস্ট) সাবিতা রিজওয়ান বলেন, ‘ওরা নিজেরাই সমাধান করে নিয়েছে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অথচ আমারা স্বাধীনভাবে থাকতে পারি না। ক্ষমতার জোরে তারা যাচ্ছেতাই ব্যবহার করবে তারও বিচার পাব না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আমাদের লাভ কী? আর কোথায় হলে এর বিচার হতো?’
বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা ভুক্তভোগী তারা যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কিন্তু যেহেতু এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি তাই কিছু করতে পারছি না।’
অভিযুক্ত নেত্রী মারুফ নাবিলার কাছে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই ঘটনা এখন বলে লাভ কী? যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।’ তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘গতকাল আপনি একপাক্ষিক নিউজ করে আমার যা ক্ষতি করার করেছেন, সাংবাদিকতার এই নীতি আপনি কোথায় শিখেছেন?’
তবে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে একটা ছোট সমস্যা হয়েছে কিন্তু সাংবাদিকরা আমার কথা না শুনেই এমনভাবে লিখলো।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, ‘সবাইকে তুলে দেয়া হয়েছে ভাই। এখন ওই হলে আর কোনো ঝামেলা নাই।’ এই বলেই আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।