ঢাকামঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সবাই প্রশংসা করে, শুধু টিআইবি করে না

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ১১, ২০১৪ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Nasim-2নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য আমরা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছি। সবাই প্রশংসা করে, শুধু টিআইবি করে না।’
তিনি বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদন আমি লাইন বাই লাইন পড়েছি। প্রতিবেদনে কোথাও নির্দিষ্ট করে লেখা নেই কে, কাকে, কোথায় ঘুষ দিয়েছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি তাকেই সরিয়ে দিয়েছি। দুর্নীতির প্রশ্রয় মোহাম্মদ নাসিম দেয় না।’
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হৃদরোগ চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হৃদরোগ চিকিৎসায় অনেক এগিয়ে গেছে। আগে আমাদের দেশের মানুষ হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য ভারতসহ অন্যান্য দেশে যেতো। গত এক দশকে এই রোগ নিরাময়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটায় জনগণ এখন দেশেই উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিনাপয়সায় ওষুধ পাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য ডা. অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-চিকিৎসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর ‘স্বাস্থ্যখাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ওই প্রতিবেদনে অ্যাডহক চিকিৎসক নিয়োগে ৩ থেকে ৫ লাখ ঘুষ নেয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়।
এতে বলা হয়, চিকিৎক-কর্মকর্তাসহ সব ধরনের নিয়োগ-বদলিতে দলীয়করণ ও অপর্যাপ্ত বরাদ্দের কারণে স্বাস্থ্যখাতের সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যখাতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ও বদলিতে ১ থেকে ৫ লাখ, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলিতে ৫ থেকে ১০ লাখ, সুবিধাজনক স্থানে দীর্ঘদিন অবস্থানের জন্য ২ থেকে ৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার ঘুষের লেনদেন হয়। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যখাতে যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল নিয়োগ, হাসপাতালের ভবন নির্মাণ, ওষুধ সরবরাহসহ সেবাগ্রহণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘটে ভয়াবহ দুর্নীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে।
টিআইবির মতে, সরকারি হাসপাতালে অপর্যাপ্ত অর্থ ও সুশাসনের অভাবে চিকিৎসা সেবা কম হলেও এক্ষেত্রে ভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ। তারা বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের নিকট থেকে অনেক বেশি অর্থ আদায় করে। ডাক্তারদের দিতে হয় অতিরিক্ত সুবিধা। ফলে আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার তুলনায় তা মানুষের উপকারের পরিবর্তে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।