নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ও আটক জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিউপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তে এ যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়।
এর আগে অভিযুক্ত আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া চমন ও প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের সময় আসামীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও আইনজীবী এসএম শাহজাহান।
ট্রাইব্যুনালে যুক্ত উপস্থাপনকালে আসামীর ডকে মাওলানা আব্দুস সুবহান উপস্থিত ছিলেন।
পরে যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালাত মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সুবহানের পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল থেকে আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষিদের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুবহানের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেনের জেরা শেষ করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৩১জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে জামায়াতের এ নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা উল্লেখ রয়েছে।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন তদন্ত সংস্থা।
তদন্তের স্বার্থে গত ১ সেপ্টেম্বর সেফহোমে নিয়ে সুবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংস্থা।
৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষিসহ মোট ৪৩ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে সুবহানের বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে সুবহানকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।