ঢাকাসোমবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাঞ্জেরী-লেকচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা!

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Panjreনিজস্ব প্রতিবেদক
বিতর্কিত দুটি নোট ও গাইড বই প্রকাশনীর কথিত সৃজনশীল বাংলা বইয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীকে বিকৃত করার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ ঘটনায় সব বই বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি ঘটনাকে গর্হিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযুক্ত প্রকাশনীর বই বাজেয়াপ্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিকৃত তথ্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ লেখা সম্বলিত বই সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় সোমবার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। যার নম্বর ৫৪।
শাহবাগ থানায় সহকারী উপ পরিদর্শক কৃষ্ণ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে জিডি করেছেন। সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বিকৃত ইতিহাস নির্ভর বই প্রকাশের বিষয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদের সূত্রে তারা এই জিডি করেন।’
জানা গেছে, বিতর্কিত নোট ও গাইড বই প্রকাশনীর কথিত সৃজনশীল বাংলা সহপাঠ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বিকৃত করে লিখেছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান শোষণমুক্ত স্বপ্নের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।’
বইয়ে অসংখ্যবার একই কথা লিখে প্রকাশনী সংস্থা সেগুলো বিক্রি করছে দেশজুড়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন সম্পর্কেও দেয়া হয়েছে মিথ্যা তথ্য। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের বাংলা সহপাঠ সৃজনশীল বইয়ের ১৯৯ নম্বর পৃষ্ঠার ৬৪ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ কবে? চারটি উত্তর লিখে সঠিক উত্তর বলা হয়েছে ২০ মার্চ।
লেকচার পাবলিকেশন্সের এইচএসসি বাংলা সহায়ক প্রথমপত্র বইয়ের ২৫৮ নম্বর পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মায়ের নাম সায়ারা খাতুনের পরিবর্তে লেখা হয়েছে সাহেরা খাতুন। সবচেয়ে বড় অপকর্ম তারা করেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় সম্পর্কিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নিয়ে। যেখনে বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন সেখানে লেকচার পাবলিকেশন্স লিখেছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান শোষণমুক্ত স্বপ্নের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।’
লেকচারের এইচএসসি বাংলা সহপাঠ বইয়ের ২৬৪ থেকে শুরু করে অসংখ্য পৃষ্ঠায় এসব বিকৃত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে। অথচ পাঠ্যবইয়ে প্রশ্নটি আছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে মনে কী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন? বুঝিয়ে লেখ।
প্রকাশনী সংস্থাটি কথিত এ সৃজনশীল বইয়ে লেখা আছে এটি এ প্লাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তাসম্পন্ন ‘এক্সক্লুসিভ অনুশীলনমূলক বই’।
মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনে মামলা করার নির্দেশ দেন। এরপরই চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মিয়া কর্মকর্তাদের বাংলাবাজার ও নীলক্ষেত বইয়ের বাজারে পাঠান বই সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করতে। বই সংগ্রহ করে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞরা তথ্য যাছাই করেন। দুপুরের মধ্যেই এনসিটিবির বিশেষজ্ঞরা প্রকাশনীর সংস্থার অপকর্মের প্রমাণ সম্বলিত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন চেয়ারম্যানের দপ্তরে। প্রতিবেদনের পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রকাশনীর বই বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম মিয়া বলেন, ‘আমরা অপরাধের প্রমাণ পেয়েছি। এখন প্রতিবেদন মাননীয় মন্ত্রীর কাছে জমা দেব। আমার বিধান অনুসারে বই বাজেয়াপ্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করছি। মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে দুটি প্রকাশনীর কর্মকাণ্ডতে গর্হিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেন এনসটিবি চেয়ারম্যান। আবুল কাসেম মিয়া বলেন, ‘আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এভাবে জাতির পিতাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো গ্রহণ করা যায় না।’