নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অভিযোগ করেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্ট রাজনৈতিক কারণে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অভিযোগ করেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেটি সঠিক নয় দাবি করে নাসিম বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আড়াই লাখ লোক কাজ করে। কিন্তু মাত্র ৩৫ জনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে টিআইবি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর ‘স্বাস্থ্যখাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ওই প্রতিবেদনে অ্যাডহক চিকিৎসক নিয়োগে ৩ থেকে ৫ লাখ ঘুষ নেয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়।
এতে বলা হয়, চিকিৎসক-কর্মকর্তাসহ সব ধরনের নিয়োগ-বদলিতে দলীয়করণ ও অপর্যাপ্ত বরাদ্দের কারণে স্বাস্থ্যখাতের সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্যখাতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ও বদলিতে ১ থেকে ৫ লাখ, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলিতে ৫ থেকে ১০ লাখ, সুবিধাজনক স্থানে দীর্ঘদিন অবস্থানের জন্য ২ থেকে ৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার ঘুষের লেনদেন হয়। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যখাতে যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল নিয়োগ, হাসপাতালের ভবন নির্মাণ, ওষুধ সরবরাহসহ সেবাগ্রহণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘটে ভয়াবহ দুর্নীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে।
টিআইবির মতে, সরকারি হাসপাতালে অপর্যাপ্ত অর্থ ও সুশাসনের অভাবে চিকিৎসা সেবা কম হলেও এক্ষেত্রে ভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ। তারা বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের নিকট থেকে অনেক বেশি অর্থ আদায় করে। ডাক্তারদের দিতে হয় অতিরিক্ত সুবিধা। ফলে আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার তুলনায় তা মানুষের উপকারের পরিবর্তে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।