লাইফস্টাইল ডেস্ক : একটি মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিবাহিত জীবন। এই জীবন পরম সুখের হবে, যদি সঙ্গীটি মনের মতো হয়। আর তার আচরণে আপনিই যদি বিব্রত থাকেন, তাহলে জীবনের সব সুখ আহ্লাদ শেষ। তাই জীবন সঙ্গী হিসেবে যে মেয়েকে বেছে নিতে চাচ্ছেন তার বিশেষ কিছু গুণের প্রতি একটু নজর রাখুন। দেখুন তো তার মধ্যে এই গুলো আছে কিনা। যদি থাকে তবে বুঝবেন পাত্রী হিসেবে তিনিই উত্তম।
সহজ-সরল
ছেলেরা সাধারণত সহজ-সরল মেয়েকেই পছন্দ করে। যদিও অনেক ছেলেই ফ্যাশনেবল মেয়ের সংস্পর্শ পেতে ভালোবাসে। তবু বিয়ে করার সময় তারা সহজ সরল একটি মেয়েই খোঁজে। কারণ তারা বেশিরভাগ সময় নিরব ও চুপচাপ থাকে। বাড়তি চাওয়া পাওয়া তাকে অস্থির রাখে না। এরা কাজকর্মে বেশ পরিপাটি থাকে। পরিবারের সবার মন যুগিয়ে চলারও ধৈর্য্য রাখে।
হাসিখুশি থাকা
সহজ-সরল হাসি মাখা একটি মুখ সবাই পছন্দ করে। স্বপ্রণোদিত মিশুক এবং বাঞ্চিত স্বভাবের মেয়েদের সবাই সহজে গ্রহণ করতে পারে। তারা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে খাতির করা বা অবাঞ্চিত কথা বলে কাউকে বিরক্ত করে না। তাই সংসার জীবনে এমন মেয়ে সবার সমাদরের পাত্রী।
সুশিক্ষিত
বেশ কিছু বছর আগেও মেয়েদের শিক্ষা খাতে অর্থব্যয়ক অপচয় মনে করা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। একটি শিক্ষিত জাতি গড়তে শিক্ষিত মায়ের প্রয়োজনীয়তা সবাই বুঝতে শিখেছে। সংসার জীবনে নানা দিক থেকে সাহায্য করতে পারে একটি সুশিক্ষিত মেয়ে। নিজের শিক্ষার আলোতে আশেপাশের পরিবেশ আলোকিত করতে পারে। তাই সুশিক্ষিত মেয়ে অবশ্যই পাত্রী হিসেবে উত্তম।
স্মার্টনেস
স্মার্ট মানে মার্জিত পোশাকে ভদ্রোচিত আচরণ। ছেলেরা পছন্দও করে স্মার্ট মেয়ে। কারণ তারা পরিবেশ বুঝে আচরণ করতে বোঝে। তার চলাফেরায় সবাই সন্তুষ্ট থাকে। তার কাজে কোনো খুত থাকে না। সব কাজ গুছিয়ে পরিচ্ছন্নভাবে করতে পারে।
চারিত্রিক বিশুদ্ধতা
একজন মানুষের রুপ, গুণ, মেধা সবই বিফলে যাবে যদি চারত্রিক বিশুদ্ধতা না থাকে। একটা ছেলের কাছে মেয়ের চরিত্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো মেয়ের চরিত্র খারাপ হলে কখনোই তাকে বিয়ে করে সুখী হওয়া যায় না। এটা ছেলেরাসহ সবাই বিশ্বাস করে। তাই চারিত্রিক বিশুদ্ধতা রক্ষা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সবার প্রতি যত্নশীল
যে মেয়েটি পরিবারের সবার প্রতি সমান যত্নশীল তাকে পেয়ে পরিবারের সবাই বেশ খুশি থাকে। ছেলেরাও এমন মেয়েকে মনের মানুষ হিসেবে চায়। যে তাকে সব সময় আদর যত্ন করবে। তাই যে সব মেয়ে অন্যের সেবা করার ব্যাপারে উৎসাহী, তাদেরকে ছেলেরা অগ্রাধীকার দেয় বেশি।