স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বসছে বিশ্বকাপের ১১তম আসর। তার ১০০ দিন আগেই শুরু হয়েছে ক্ষণগনণা। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্বকাপের আর বাকি মাত্র ৯২ দিন।
ক্রিকেট ইতিহাসে কয়েক জন অধিনায়কের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে সেখানে অবধারিতভাবেই চলে আসে স্টিভ ওয়াহ’র নাম। যার ক্রিকেট সত্ত্বাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল নেতৃত্ব গুন। অস্ট্রেলিয়াকে দল হিসেবে করে তুলেছিলেন অজেয়।
সেই স্টিভ যখন ১৯৮৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২২। ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট-বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। সেবারই প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া।
স্টিভের ভাষায়,‘ এটা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সেরা মুহূর্ত। টুর্নামেন্টে আমরা ফেভারিট ছিলাম না। বব সিম্পসন এবং অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে আমরা কঠোর পরিশ্রম এবং অনুশিলন করেছিলাম। নিজেদের সামর্থ্য একটা দল হিসেবে প্রকাশ করেছি।’
কলকাতার ইডেন গার্ডেনের সেই ফাইনালে প্রায় ৯০ হাজার দর্শক হাজির হয়েছিল। সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড হারিয়েছিল ভারতকে আর অস্ট্রেলিয়া পরাভূত করেছিল পাকিস্তানকে। ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের হারের কারণে ইডেনের বেশির ভাগ সমর্থনই ছিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে।
সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে স্টিভের। ওই ম্যাচের সেরা পারফরমারের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,‘ আমার মনে আছে সেরা ইনিংস খেলেছিলেন মাইক ভেলেটা। তার ৩১ বলে ৪৫ রানের ইনিংস ছিল অসাধারণ। আমরা বড় সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে পরে আমরা বোলিং ভাল করেছি। আমি ইনিংসের শেষ দিকে চাপের মুখে বোলিং করেছি। এই অভিজ্ঞতা আমি উপভোগই করেছি। আমি জানতাম, আমরা যদি কয়েকটা ওভার ভাল করে দিতে পারি তাহলে জিততে পারি। সুতরাং একজন ক্রিকেটার হিসাবে এটা ছিল আমরা কাছে দুর্দান্ত একটা ব্যাপার।’
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতবে এটা কেউ চিন্তাও করেনি। এমনকি ক্রিকেটারদেরও মনে হয়নি তারা বিশ্বকাপ জিততে চলেছে। স্টিভ বলেন,‘ সত্যিকার অর্থে ভারতে আমরা কেউ জেতার আশা করিনি। অথচ এর শেষটা ছিল আমাদের কাছে স্মরণীয়। এরপর আমি অনেকবারই বিশ্বকাপ খেলেছি। কিন্তু ভারতের ওই বিশ্বকাপ খেলা ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’