ঢাকামঙ্গলবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোলাম আযম সিসিইউতে

দৈনিক পাঞ্জেরী
সেপ্টেম্বর ২, ২০১৪ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক

golam-azamমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৯০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গোলাম আযমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রিজন সেল থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের বি ব্লকে অবস্থিত সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।
গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, “সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে ডাক্তার আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় জুস পান করতে গেলে তার শ্বাসনালির ভেতরে ঢুকে যায়। এরপরে প্রেসার বেড়ে গেলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে।”
গত বছরের ১৫ জুলাই গোলাম আযমকে পাঁচটি অভিযোগে ৯০ বছরের কারাদণ্ড অথবা মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত জেলে থাকার রায় দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রথম ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের ৬১টি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তার সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত। কিন্তু বয়স বিবেচনায় তাকে আমৃত্যু সাজা দেয়া হলো।
রায়ে গোলাম আযমকে প্রথম অভিযোগের জন্য ১০ বছর, দ্বিতীয় অভিযোগের জন্য ১০ বছর, তৃতীয় অভিযোগের জন্য ২০ বছর, চতুর্থ অভিযোগের জন্য ২০ বছর ও পঞ্চম অভিযোগের জন্য ৩০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, তিনি শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠন করেছিলেন। তিনি অনুসারীদের অপরাধ থেকে বিরত রাখতে পারতেন। কিন্তু সজ্ঞানে তিনি তা করেননি। তার বয়স ৯১ বছর। শুধু এই বিবেচনা করেই এ রায় দেয়া হলো। তবে আসামির বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি যে তিনি এসব ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত ও জড়িত ছিলেন।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে গোলাম আযম পাকিস্তানে চলে যান। স্বাধীনতার পর তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ১৯৭৮ সালের ১১ জুলাই মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ১৯৯৪ সালের জুনে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তার নাগরিকত্বও পুনর্বহাল হয়। ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ছিলেন