স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্টে ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার তালিকায় থাকা ২২ জনের তালিকায় নিজের নাম লিখতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব মাত্র ২ উইকেটের জন্য নিজেকে ক্রিকেটে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরতে পারেননি।
টেস্টে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার তালিকায় রয়েছেন ২২ ক্রিকেটার। অলরাউন্ডারের ক্লাবে নাম লেখানোর যোগ্যতা ২৫০ রান ও ২০ উইকেট। সে তালিকায় স্থান পেতে সাকিবকে চট্টগ্রামে রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ উইকেট। তবে তিন টেস্টে ২৫১ রানের সঙ্গে বল হাতে ১৮ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। আর দুই উইকেট পেলেই নিজের নাম লেখাতেন জ্যাক কালিসদের পাশে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সাকিব পুরো দিনে সেই দুটি উইকেট নিতে পারেনি।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার জর্জ গিফেন, ইংল্যান্ডের লিওনার্দো কার্লাইল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ ফল্কনারের রেকর্ড ভাঙা হয়তো কঠিন। কারণ তারা পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ওই তালিকার শীর্ষে উঠেছেন। এক সিরিজে সেরা অলরাউন্ডার নৈপুণ্যের তালিকায় সবার উপরে উঠতে পাঁচ-ছয় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তারা। কিন্তু সাকিব মাত্র তিন টেস্ট ম্যাচ টেস্ট খেলেই অল্পের জন্য রেকর্ডের খুব কাছে থেকে ফিরে এলেন। হয়তো সেটি ভেঙেও ফেলবেন একদিন। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তালিকায় সাকিবকে দেখতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে।
তবে দুই টেস্ট পারফরম্যান্সে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই গ্রেট অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পাশে নাম লিখিয়েছেন। দুই টেস্টে ১৬৩ রান ও ১৭ উইকেট নিয়ে তিনি এ রেকর্ড করেন।
এদিকে ১৮৯৪-৯৫ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অসি ক্রিকেটার জর্জ গিফেন ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরিসহ করেন ৪৭৫ রান। একই সঙ্গে বল হাতে তিনবার পাঁচ উইকেটসহ ৩৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত এক সিরিজে সেরা অলরাউন্ডার নৈপুণ্যের তালিকায় সর্বাধিক উইকেট ও সর্বাধিক রানের রেকর্ডটা দখল করে রেখেছেন তিনি। ইংলিশ ক্রিকেটার লিওনার্দো কার্লাইল ও অ্যাশেজে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে একটি সেঞ্চুরিসহ ২৫৬ ও উইকেট নিয়েছিলেন ২১টি।