ঢাকাসোমবার , ১৭ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুদ্ধফেরত সৈন্য নিয়ে বিপাকে যুক্তরাজ্য

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ১৭, ২০১৪ ১২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

MOIDআন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধফেরত ২৫ হাজার সৈন্যকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে যুক্তরাজ্য। ২০১০ সাল থেকে ক্রমাগত হতাশার কারণে মুটিয়ে যাওয়া এই বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারছে না দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মারফত এই তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের মিনিস্ট্র অব ডিফেন্স তার সৈনিকদের সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে আগাগোড়াই সচেতন। কিন্তু ২০১০ সালের শুরুতে সেনাবাহিনীর ভেতরে হতাশাগ্রস্ত সৈনিকের সংখ্যা যেখানে ছিল ১৬ হাজার ৪০০, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ হাজার। তবে আশঙ্কার কথা হলো, এই হতাশাগ্রস্ত সৈনিকদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময় দেশের হয়ে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধরত অবস্থায় ছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পরই মূলত তাদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী হাতাশার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো সময় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে। আর চাকরি হারানোর এই দুশ্চিন্তা তাদের আরও হতাশ করে তুলছে বলেও অনেকের ধারণা।
দেশটির ন্যাশনাল অবিসেটি ফোরামের প্রধান ট্যাম ফ্রে গণমাধ্যমটিকে জানান, ‘এই জরুরী অবস্থা সামলানোর জন্য সেনাবাহিনী অথবা যেকোনো পাবলিক সার্ভিসকে এগিয়ে আসতে হবে। সেনাবাহিনীর এই হতাশাগ্রস্ত সৈন্যরা অনেক সময় পায় তাদের শরীর গঠনের জন্য। তাদের পর্যাপ্ত খাওয়া-দাওয়া এবং শারিরীক কসরতের মাধ্যমে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
তবে আর্মড ফোর্সেস সার্ভিসের এক মুখপাত্র জানান, ‘বিএমআই সেনাদের মধ্যে হতাশার চিহ্ন স্পষ্ট। তবে এর হার যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই তাদের হাতের পেশি এবং পেটে চর্বি জমে যাওয়া লক্ষন স্পষ্ট।’
উল্লেখ্য, গত বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থেকে ৫০ জন সৈন্যকে মুটিয়ে যাওয়ার কারণে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে ১৩ জন সৈন্যকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয় একই কারণে।