ঢাকাবুধবার , ১৯ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খালেদার লিভ টু আপিলের শুনানি মুলতবি

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ১৯, ২০১৪ ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Khaleda-hajira নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করা ৩টি লিভ টু আপিলের শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রফিকুল ইসলাম মিয়া এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে জয়নুল আবেদিন শুনানি শুরু করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘জিয়া অরফানেজে যে টাকা পয়সার লেনদেনের কথা বলা হয়েছে সেখানে খালেদা জিয়ার কোনো স্বাক্ষর নেই। অর্থ লেনদেনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই মামলার এফআইআর প্রমাণ করে না যে খালেদা জিয়া এর সঙ্গে সম্পৃক্ত।’ সকাল ১১টা পর্যন্ত তিনি শুনানি করেন। এরপর ১২টা পর্যন্ত শুনানি বন্ধ থাকে। ১২টার পর শুনানি করেন এজে মোহাম্মাদ আলী।
তিনি বলেন, ‘অনুচ্ছেদ ২৪১ এর (এ) এবং ২৪২ অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে হলে বিচারক নথিপত্র দেখে সন্তুষ্ট হয়ে চার্জ গঠন করতে পারবেন। খালেদার বিরুদ্ধে বিচারক যেদিন চার্জ গঠন করেছেন তিনি তার আগের দিন বিচারক হিসেবে চাকরিতে যোগদেন। এই একদিনের মধ্যে এফআইআরের ৫০০ পৃষ্ঠা পড়ে প্রয়োজনীয় উপকরণাদী সম্পর্কে অবহিত হয়ে কীভাবে তিনি চার্জ গঠন করলেন। এটা সুপারম্যান ছাড়া সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু একদিনের মধ্যে এতো কাগজ পড়া সম্ভব না সেহেতু এ অভিযোগ আমলে নেয়ার কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায় না।’ এর পর বেলা ১টার সময় আপিল বিভাগের সময় শেষ হলে এজে মোহাম্মাদ আলীকে শুনানি শেষ করতে বলেন প্রধান বিচারপতি। এবং শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন। আজ তৃতীয় দিনের মতো এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক বাসুদেব রায়ের আদালত। এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। হাইকোর্ট এ আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এর পর লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
এর মধ্যে তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। তবে শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির না থাকায় ১৯ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অপর দুই আসামি ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।