নিজস্ব প্রতিবেদক : মংলা বন্দরকে বিশ্বমানের আদর্শ বন্দর করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক মাষ্টার প্লান ফর মংলা পোর্ট’ প্রণয়ন কার্যক্রম চলছে। জাতীয় সংসদের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মংলা বন্দরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন এবং রেলওয়ে লিংক, ফোর লেন প্রকল্প, বিমান বন্দর, ফাইভ স্টার হোটেল, ব্রিজসহ যেসব কাজের প্রয়োজন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি সারমর্ম প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশেনের সার্বিক কার্যক্রম, বিভিন্ন সমস্যাবলী নিয়ে এ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মংলা বন্দরের জনবল নিয়োগের কাজ আগামী ডিসেম্বর ২০১৪ এর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া রুজবেল্ট জেটির নাম পরিবর্তনের জন্য ৩টি নামের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হয়েছে এবং মংলা বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মংলা বন্দরের উন্নয়নের লক্ষ্যে মাওয়া-নোয়াপাড়া-মংলা পর্যন্ত রাস্তাকে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, মংলা বন্দরে একটি বিমান বন্দর নির্মান এবং আন্তর্জাতিক মানের ৫ স্টার হোটেল নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কাজে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, পণ্য হ্যান্ডলিং এবং সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ ও সাশ্রয়ী সেবা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশেনকে জ্বালানী ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে নতুন জাহাজ ক্রয়ের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট নিয়োগের জন্য যত দ্রুত সম্ভব দরপত্র আহ্বানের সুপারিশও করা হয় এ বৈঠকে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক এবং আনোয়ারুল আজীম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মংলা বন্দরের সদস্য সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।