ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুধু পেটের নয়, মনের ক্ষুধাও মেটাতে হবে

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ২০, ২০১৪ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

hasina-9নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে অপসংস্কৃতি যেন ঘাড়ে চেপে না বসে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। নতুনদের  দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। এজন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেছেন,
শুধু পেটের নয়, মনের ক্ষুধাও মেটাতে হবে
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সচিব রনজিৎ বিশ্বাসসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন নতুন অনেক প্রযুক্তি এসেছে। সব কিছুই এখন ডিজিটাল। সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু পুরনো জিনিস ধরে রাখলে সামনে এগোবো না।
নতুন প্রজন্ম কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবপোর্টাল ব্যবহার করছে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের কাছে সংস্কৃতি সহজে পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাংস্কৃতিক গবেষণার ওপর জোর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশজ সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। দেশজ সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
সাংস্কৃতিক বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। শুধু পেটের ক্ষুধা মেটালে হবে না। মনের ক্ষুধাও মেটাতে হবে। সংস্কৃতি সাহিত্য চর্চা মানুষের মনের খোরাক যোগায়। সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনকে আরো বিকশিত করে।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকেও ধরে রাখতে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এসব সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনসহ বরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।