নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি আয় কমেছে তবে এর পরিমাণ শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ যা অতি নগণ্য।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সংসদকে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশর রপ্তানি আয়ের ১৯ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ইউএসএ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের হিসাব মতে, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবিদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর (ফেনী-২) এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমদে বলেন, ‘বর্তমানের দেশে সোয়াবিন তেলের আনুমানিক বার্ষিক চাহিদা ১০ থেকে ১০ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৪ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত এবং ১০ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত/ অপরিশোধিত পাম ওয়েল তেল করা হয়েছে।’
মহিলা সংসদ সদস্য আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বের ১০৭টি দেশে রপ্তানি হয়। এর মধ্যে জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইটালী, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক উল্লেখযোগ্য।
কামরুল আশরাফ খানের (নরসিংদী-২) প্রশ্নের জবাবে মোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ১৪৭ জন সিআইপি (রপ্তানি) আছেন।’
মহিলা সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৯টি দেশে বাংলাদেশের সিমেন্ট রফতানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভূটান, মালয়েশিয়া, বুলগেরিয়া, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে সিমেন্ট রফতানি করা হয়ে থাকে। সিমেন্ট রফতানি করেই ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার।
তিনি আরও জানান, সিমেন্ট বাংলাদেশের একটি পুঁজিঘন শিল্প খাত। দেশে উৎপাদিত সিমেন্ট দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন রপ্তানি করা হচ্ছে। সরকার সিমেন্ট রপ্তানী বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের যে কোনো একটিতে ৭ দিন ব্যাপী একটি বিশেষায়ীত মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এ মেলায় অন্যান্য পণ্যের সাথে সিমেন্টকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এছাড়া সিমেন্ট রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রতিবেশী দেশসমূহে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তোফায়েল বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট পাশ্ববর্তী দেশগুলোতেই বেশি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে সাফটা চুক্তির আওতায় ভারত হতে শুল্কমুক্ত রপ্তানী সুবিধা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া এলডিসি হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনও শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এছাড়াও জিএসপি স্কিমের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে শুল্কমুক্ত সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিমেন্ট রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অবকাঠামোগত সুবিধাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া সিমেন্টের গুণগতমান নির্ণয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ফ্যাসালিটি বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রপতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রফতানি বাণিজ্যে উৎসাহিতকরণে প্রতিবছর সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়।