ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শহিদুল হত্যাকাণ্ড
আ.লীগ নেতাদের নাম থাকায় মামলা হয়নি

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ২০, ২০১৪ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

Jessore1যশোর প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম খুনের ঘটনায় দলটির যশোর সদর উপজেলা সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নামে অভিযোগ দেয়ার দু’দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। তবে ঝামেলা এড়াতে পুলিশ বাদী হয়ে নিহতের স্বজনদের অজান্তেই অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতারা বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, শালতে বাওড় নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বুধবার ভোরে সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খুন হন। এ বাওড় নিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সহ-সভাপতি দাউদ হোসেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে নিহতের পরিবার ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় নিহতের ভাই এজাজ আহম্মেদ বাদী হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সহ-সভাপতি দাউদ হোসেন, সবুজসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় লিখিত দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম থাকায় গত দু’দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। তবে ঝামেলা এড়াতে নিহতের স্বজনদের অজান্তে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহতের ভাই এজাজ আহম্মদ বলেন, ‘শুনেছি যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মামলা রেকর্ড করতে বাধা দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক জানান, বাদী সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পায়নি। তাই সাঁজিয়ালি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোর্তজা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম থাকায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি অভিযোগ করে নিহতের ভাই এজাজ আহম্মেদ বলেন, ‘ভাই, কেউ যদি এমন কথা বলে, বোঝেন তো; আমার কি করার আছে।’
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেশমা শারমীন বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।’
নিহতের পরিবারের দাবি আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
পুলিশের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এজাজ আহম্মদ বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। পুলিশ আমার লিখিত রিসিভ করে নিয়েছে। সে কপি আমার কাছে রয়েছে।’