নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বগ্রাসী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এই ঝুঁকির আলোকে আমরা লিমা সম্মেলনে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে লিখিতভাবে কতটুকু ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারি তার চেষ্টা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সেমিনারে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ-২০’ উপলক্ষে ইক্যুইটিবিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশকে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে যাবার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের দেশকে দারুণ ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সম্মেলনে যদি দর কষা-কষির মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে না পারি, তবে আগামীতে বাংলাদেশকে অনেক বড় ঝুঁকির সম্মুখিন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা সবসময় পূরণ করে না। উন্নত দেশগুলো আইলা, সিডরের সময় বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অথচ আমরা মিলিয়ন ডলারও পাইনি। তারা সব সময় প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। লিমা সম্মেলনে এমন একটা আইন করা উচিত হবে যাতে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে ওই দেশকে দায়ভার গ্রহণ করতে হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, লিমায় জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের শরণার্থীর সংজ্ঞা পরিবর্তন করার জোর দাবি জানানো উচিত হবে। কারণ ১৯৫০ সালের দিকে শরণার্থী নিয়ে সর্বপ্রথম যখন সম্মেলন হয়েছিল তখন জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা ছিল না। তাই শরণার্থীদের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তরা পড়ে না।
অথচ এখন এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা মোটেও দায়ি না থাকলেও মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছি। যে জলবায়ুকে আমাদের ‘জীবন তরী’ বলা হয় তাকে দূষিত করে ফেলছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেশকিছু পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে, যারা জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে। তারা জনগণকে সতর্ক করার পাশাপাশি সরকারকে এসব উদ্যোগ নিতে বাধ্য করেন। আগামী ২৩ নভেম্বর লীমা সম্মেলন নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক।
ইক্যুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।