নিজস্ব প্রতিবেদক : যেদিন তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে সেদিন থেকেই আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘মাত্র ৬ মাস আগে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার দাম বাড়ানোর ঘোষণা যেদিন করা হবে সেদিন থেকে আন্দোলন শুরু হবে। যা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে।’ গণতন্ত্র ও মানুষ হত্যার জন্য এ সরকার ও শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি আয়োজিত বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণার প্রতিবাদে এক নাগরিক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভোটারবিহীন পুলিশতন্ত্রের সরকার। তাই দফায় দফায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করতে কোনো প্রকার পিছপা হয় না।’ তিনি আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেরা নিজেদের ভাইয়ের রক্ত খাচ্ছে। সারা বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন আজ ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর হাতে জিম্মি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ সরকার হলমার্ক খেয়েছে, বিসমিল্লাহ গ্রুপ খেয়েছে, শেয়ার বাজার খেয়েছে, ডেসটিনি খেয়েছে এখন জনগণের পকেটের টাকা খাওয়ার জন্য তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।’
‘বর্তমান সরকার যতোবেশি ক্ষমতায় থাকবে জনগণ ততোই বিপদগ্রস্ত হবে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যে সরকার বিনাভোটে নির্বাচন না করে সরকার গঠন করেছে সেই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য ছাত্রলীগকে গুণ্ডালীগে পরিণত করেছে। আর পুলিশ বাহিনীকে আওয়ামী পুলিশ লীগ বানিয়ে ফেলেছে। যতোদ্রুত এই সরকারের পতন হবে ততোদ্রুতই দেশের জনগণের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি ও গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।’
এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি খন্দকার গোলাম মোস্তফা, ডিএলএ’র মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, এনডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম সাগর প্রমুখ।