নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘মানুষের অধিকার আদায়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আর এ সরকারের পতনের জন্য আন্দোলনের ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। গণতন্ত্র রক্ষায় এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনর্বহাল-দ্রুত নতুন নির্বাচন প্রয়োজন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায়
তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলে যারা মুখে ফেনা তোলে তাদের আমলে বাকশাল কায়েম হয়েছিল এখনও বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করছে। যারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা ইতিহাস পড়ে দেখুন স্বৈরাচার করে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও থাকতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘দেশ একটা মারত্মক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। এজন্য সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। এরপর যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সরকারে কোনো দুর্নীতি, সন্ত্রাস থাকবে না। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায়
আসবে এটা তাদের পরিকল্পনা ছিল। সেই মোতাবেক শেখ হাসিনা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লাখ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছিল। এখন দেশের জনগণ বেঁচে থাকার মতো অবলম্বন সম্মান পায় না বলে পশুদের সঙ্গে একত্রে বিদেশে পাড়ি দেয়। অনেক সময় বহু লোকের জীবনও চলে যায়।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে, দলকে বাঁচানোর জন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এজন্য রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।