ঢাকাসোমবার , ২৪ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শুরু হয়নি আমন সংগ্রহের অভিযান

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ২৪, ২০১৪ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

amon-2নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও আমন সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়নি এখনো। সরকারের গুদামে জমা হয়নি এক ছটাক আমন চালও। অথচ খাদ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে বলেছিলেন, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে আমন সংগ্রহের অভিযান শুরু হবে এবং তা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সাল পর্যন্ত।
বাস্তবে এখনো বিভাজন শুরু হয়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রায় ১৮ হাজার চালের মিলের কাছে থেকে তাদের সক্ষমতা অনুয়ায়ী কি পারিমান চাল সংগ্রহ করা হবে তার একটি তালিকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ গুদামে চাল উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ভবনের এক কর্মকর্তা।
ঘোষিত সময়ে কেন আমন সংগ্রহের অভিযান শুরু হয়নি এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মিলারদের সঙ্গে চুক্তি হতে আরো ১০ থেকে ১৫দিন সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে ২৫ তারিখ নাগাদ ক্রয় অভিযান শুরু হবে। ধানটা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হয় কিন্ত চাল মিলারদের কাছ থেকেই ক্রয় করা হয়।
আমন সংগ্রহের সময় সীমা বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।
একটা অভিযোগ প্রায়ই থাকে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না। পুরো লাভের অংশটা চলে যায় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কব্জায়। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। কারণ আমনের মূল্য নির্ধারণ অনেক আগেই হয়েছে। তারা মূল্য জেনেছে। কাজেই এর প্রভাব সরাসরি কৃষকদের কাছে যাবে।
বর্তমানে ১১ লাখ টন চাল এবং ২ লাখ টন গম মজুদ অর্থাৎ মোট ১৩ লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। এ মজুদ গত বছরের তুলনায় এ সময়ে ৩ লাখ টন বেশি। এছাড়া বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ১১ লাখ টন ছিল কিন্তু সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন।
সরকারি হিসাব মতে, এ বছর প্রতি কেজি ধান উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১৮ টাকা। সরকার এর মূল্য নির্ধারণ করছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে কৃষকের লাভ হবে ২ টাকা ৭০ পয়সা। আর প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ২৮ টাকা। সরকার এর ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩২ টাকা। এখানে কৃষক ৪ টাকা লাভ করতে পারবে।
সরকার ৩২ টাকা দরে এ বছর ৩ লাখ মেট্রিকটন আমন চাল মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। তবে টার্গেট পূরণ করতে পারবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতি বছর ৯ লাখ টন গম আমদানি করতে হয় সরকারের।
সবচেয়ে বড় কথা ২০১২ সাল থেকে সরকার কোনো চাল আমদানি করেনি। বরং উৎপাদন ও সরকারি মজুদ সন্তোষজনক হওয়ায় সরকারি পর্যায়ে শ্রীলংকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল রপ্তানির পদেক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থাৎ গত বছরে আমন সংগ্রহের সময়সীমা ছিল ১ ডিসেম্বর ২০১৩ সাল থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল পর্যন্ত। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা দরে ২ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। মিলারদের সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা ছিল ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
এদিকে মাদারীপুরের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, কোনো বছরই আমনের সঠিক দাম তারা পান না। সরকার বলে একদাম আার বাজারে অন্যদাম। সব লাভ পায় মিলার আর ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহীর আজিজার জানান, এবার ফলন ভালো। তবে খরচ পড়ছে বেশি। কী দাম পাবো আল্লাই জানেন।

বিশেষ প্রতিবেদন সর্বশেষ