মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি নীল ছবি ধারণের অভিযোগে দিনাজপুরের কাহারোলে এক কোচিং সেন্টারের পরিচালককে আটক করেছে র্যাব।
ইজি কোচিং সেন্টারের পরিচালক আনারুল ইসলাম এখন জেল-হাজতে আছেন।
এদিকে বুধবার ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক আনারুল ইসলামের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
কাহারোল থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে আনারুল ইসলাম দীর্ঘদিন হতে ইজি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। ওই কোচিং সেন্টারে উপজেলার সুন্দইল গ্রামের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী পড়তেন।
সেই সূত্র ধরে পরিচালক বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি নীল ছবি ধারণ করেন। পরে তার অভিভাবকদের বিভিন্ন ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ দাবি করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পকে অবগত করলে ৩০ আগস্ট র্যাব ইজি কোচিং সেন্টারে অতর্কিত যায়। এসময় ভিডিও ধারণ করা ল্যাপটপসহ কোচিং সেন্টারের পরিচালক আনারুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কাহারোল থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ০৯ এর ১০ ও ৯ (১) ধারাসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১) ও (২) ধারা যৌনপীড়ন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১০, তাং- ৩১/০৮/২০১৪ইং।
ইজি কোচিং সেন্টারের পরিচালক আনারুল ইসলাম এখন জেল-হাজতে রয়েছেন। তার বিচার ও ফাঁসির দাবিতে বুধবার এলাকায় মানববন্ধন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে স্মারক লিপি প্রদান করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর আলী তালুকদার, কাহারোল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এদিব খালেদা হানুম, রামচন্দ্রপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বাবু, মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও শিক্ষক বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কাহারোল শাখার সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক মো. আবু সাঈদ, বনড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার রায়, কাহারোল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোছাম্মৎ আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের নিকট একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।