নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারে সরকার ও দলগতভাবে যতটুকু করণীয় তার চেয়ে বেশি করেছে আওয়ামী লীগ, এটা নজিরবিহীন। আইনের বিষয়ে আদালত বিচার করবে। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আর লতিফ সিদ্দীকির বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। যেহেতু তাকে রাষ্ট্র অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেনি, তাই সে যখন খুশি তখন দেশে ফিরতে পারে। এদেশের নাগরিক হিসাবে তার আইনি সহয়তা পাবার অধিকার রয়েছে।
আলেম ওলামাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদের চেয়ে কম ধর্মীয় অনুভূতিশীল নয়। অযথা এই নিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করবেন না, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার এলাকার সিলেটের ছেলে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে খুন হয়েছে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে অদম্য মেধাবী ও নিরেট বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা বিদ্রোহ থাকতেই পারে। কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে বলে হয়েছে সমুন ছাত্রলীগের কেউ না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাই এনিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার। তদন্ত করে দেখা হোক এখানে ভর্তি বাণিজ্যের মত কতোটা কমিটি বাণিজ্য হয়েছে। দোষীদের বিচারের মুথোমুখি করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত কারণ উৎঘাটন করতে হবে।
এইচটি ইমামের প্রতি ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত বলেন, একজন লন্ডনে গেছেন ইমামতি করতে। আরেকজন লতিফ সিদ্দিকী আসছেন দেশে। কেউ আসে কেউ যায়। এদেশে সবই সম্ভব।
রুপালী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, নগর আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।