ঢাকাসোমবার , ২৪ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে লতিফ!

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ২৪, ২০১৪ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Latif-siddiqe-1নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরা সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি আগাম জামিন নেয়ার জন্য হাইকোর্টে গেছেন।
সোমবার সকালে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের এক জুনিয়র আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামিন কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে। তবে কোনো সাংবাদিক লতিফ সিদ্দিকীকে আদালত প্রাঙ্গণে দেখেননি।
এদিকে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান তার ‘আইনজীবী’ নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী নামে কোনো মক্কেল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অন্য কেউও লতিফ সিদ্দিকী নামের কারো জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
রোববার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাবেক এই মন্ত্রী। কিছুক্ষণ ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান করার পর তিনি নিরাপদে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। কলকাতা থেকে তিনি ঢাকা আসেন।
জানা যায়, রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হননি।
রাত ৯টা ২৬ মিনিটের সময় ভিআইপি টার্মিনাল থেকে সাদা পোশাকধারীরা তাকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের ভেতর থেকে হাঁটিয়ে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে একটি সাদা প্রাইভেটে করে লতিফ সিদ্দিকী চলে যান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন লতিফ সিদ্দিকী।
এসময় তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করলো এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত। তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী, জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলীগ জামাতের।’
হজ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’
এ সময় তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাবলীগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি।
এরপরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়।
নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রায় প্রতিটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে তাকে মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই থেকে আর দেশে ফেরেননি লতিফ সিদ্দিকী। তিনি ভারতের অবস্থান করছিলেন বলে অনেকে দাবি করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার খবরে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো আবার সরব হয়ে ওঠেছে। তারা লতিফ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি করছে। দাবি না মানলে আগামীকাল হরতাল দেয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।