নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত আসামিরা আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ মধ্যে রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন- সুপ্রিম কোর্ট এ পর্যবেক্ষণ দিলেও কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে রিভিউ জটিলতা এখনো কাটছে না। আদালতের এমন পর্যবেক্ষণসহ কাদের মোল্লার রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের একদিন পরই অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন, কামারুজ্জামান ১৫ দিন সময় পাবেন না, যদি এ সময়ের মধ্যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়ে যায়।’
বুধবার বেলা ১টার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পরপরই যদি কামারুজ্জামান রিভিউ আবেদন করেন তখন সেটি বিচারাধীন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না।’
এসময় সাংবাদিকরা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করার সুযোগ পাবেন, এ বিষয়টি কাদের মোল্লার রিভিউ রায়ের মধ্যে উল্লেখ আছে। ১৪ দিনের মাথায়ও তো রিভিউ করতে পারেন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা এ সুযোগ পাবেন।’
কামারুজ্জামানের কাছে রায়ের কপি পৌঁছানোর পর তিনি যদি রিভিউ করতে চান- এরকম প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘কামারুজ্জামান রায়ের কপি পাওয়ার আগেই যদি ফাঁসির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কামারুজ্জামান আর রিভিউ করার সুযোগ পাবেন না।’
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, কাদের মোল্লার রিভিউ রায়ে স্পষ্ট করে বলা আছে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পরে ১৫ দিনের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা রিভিউ করতে পারবেন।
তখন তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করার পর সেটি ট্রাইব্যুনালে যাবে। ট্রাইব্যুনাল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠাবে। কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসি কার্যকরের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবেন। সেই নির্ধারিত সময় অনুয়ায়ী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’
এ প্রসঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মুহম্মদ মনির বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য ভুল। গতকাল আপিল বিভাগ কাদের মোল্লার রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা আছে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পরে ১৫ দিন সময় পাবেন রিভিউ করার জন্য। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটি ঠিক নয়।’