নিজস্ব প্রতিবেদক : পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ, বিমানবন্দর ও আধুনিক রেল স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবিতে আধাঘণ্টা থমকে ছিল খুলনা নগরী। এ সময় অন্তত ৩৩ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রেখে যে যার অেবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ডাকে বুধবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন তাদের ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সবাই প্রমাণ করেছে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও উন্নয়নের ব্যাপারে সবাই একমত।
নগরজুড়ে এ মানববন্ধন চলাকালে মূল সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় নগরীর ডাকবাংলো ও ফেরিঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে।
সেখানে খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র (কেসিসি) মো. মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট এস এম মঞ্জুরুল আলম, সিপিবি নেতা এস এ রশিদ, জাসদ নেতা খালিদ হোসেন, ন্যাপ নেতা মো. ফজলুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল কাইয়ুম ও আলহাজ্ব এস এম দাউদ আলী, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন, জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ, বিমানবন্দর ও আধুনিক রেল স্টেশন, খুলনা-দর্শনা রেলপথ দুই লেনে নির্মাণ, ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াট বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওভাহোলিংয়ের মাধ্যমে চালু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার শয্যায় উন্নীতসহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, মংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নসহ দ্রুত পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন, খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল, হার্ডবোর্ড ও দাদা ম্যাচ চালু, শিশু হাসপাতাল, মডেল স্কুল, ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ জাতীয়করণ, যশোর-খুলনা মহাসড়ক, ভোমরা-খুলনা-মংলা-ঢাকা মহাসড়ক চার লেন নির্মাণ, সুন্দরবন রক্ষা ও বৃহত্তর খুলনায় পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা, কেসিসি ও কেডিএর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।