নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় চার্জ শুনানি আগামী ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর তার কোর্টে বদলি হয়ে আসা মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য ওই দিন ধার্য করেন।
ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলার বাদী এ এন এম আবেদ রেজার দায়ের করা মামলাটি আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে চার্জ শুনানির জন্য বদলি করেন। মামলাটির বদলি ও চার্জ শুনানির দিন ধার্য করার বিষয়ে নিশ্চিত করেন বাদী এ এন এম আবেদ রেজা।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে লতিফ সিদ্দিকীকে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। ওইদিন লতিফ সিদ্দিকী তার পক্ষে কোন আইনজীবী নিয়োগ করেননি এবং জামিনও প্রার্থনা করেননি। যদিও পরে তিনি ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়াকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন।
ওইদিন আসামি লতিফ সিদ্দিকীকে জেলহাজতে পাঠানোর খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েন আদালত অঙ্গনে উপস্থিত আইনজীবী ও সাধারন লোকজন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালত কক্ষ থেকে সিএমএম এর হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। ওইসময় উপস্থিত আইনজীবী ও অন্যান্যরা নানান শ্লোগান দিতে থাকে। তারা ‘লতিফের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে।
এসময় কেউ কেউ তার দিকে থুথু নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। শেষে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে বহনকারী পুলিশের গাড়ি জেলহাজতের উদ্দেশ্যে আদালত চত্বর ত্যাগ করে। সর্বশেষ তাকে বহনকারী গাড়ির জানালাতে জুতা দিয়ে আঘাত করতে দেখা গেছে ক্ষুব্ধ কয়েকজনকে।
এই মামলা ছাড়াও আরও ৫টি মামলা রয়েছে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে নবী করিম (সা.), হজ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এরপরই দেশে-বিদেশে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ ও দল থেকেও বহিস্কার করা হয়।