ঢাকারবিবার , ৩০ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খালাস চেয়ে মীর কাসেমের ১৭৫০ পৃষ্ঠার আপিল

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৩০, ২০১৪ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Mir-kasemনিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলী।
রোববার সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিলটি দায়ের করা হয়। আপিলে মামলা থেকে খালাস চেয়েছেন মীর কাসেম।
আপিল দায়েরের পর মীর কাসেমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ১৮১টি পয়েন্টের ওপর আপিল করেছি। আপিল আবেদনটি পাঁচটি ভলিউমে জমা দেয়া হয়েছে। মোট পৃষ্ঠা হয়েছে ১৭৫০টি।
গত ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর দুটি অভিযোগে তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়।
অভিযোগ দুটি হলো- একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে অপহরণের পর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হন এবং পরে লাশ গুম করা হয়।
এছাড়া জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এতে দু’জন নিহত হন এবং তাদের লাশও গুম করা হয়।
অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্য ও আইনগত যে ভুল করেছেন সেই ভুলগুলো আমরা তুলে ধরেছি। আমরা আশা করছি, আপিল বিভাগ আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে মীর কাসেম আলীকে সাজা থেকে খালাস দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘যে দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল সেই দু’টি অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে। যে দু’জন সাক্ষীর ভিত্তিতে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে সেই দুই সাক্ষীর একজনের জন্ম ১৯৭৭। কিন্তু  তিনি ১৯৭১ সালের ঘটনা নিয়ে কিভাবে আদালতে সাক্ষী দেন? আমরা এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেছি।’
শিশির মোহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘১১ নম্বর চার্জে তুল্লু সেন ও রঞ্জিত দাস হত্যার অভিযোগে মীর কাসেমকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তুল্লু সেন মারা গেছেন ১৯৭১ সালে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি তুল্লু সেনের জবানবন্দি নিয়েছেন। যে ব্যক্তি মারা গেছেন তদন্ত কর্মকর্তা তার জবাববন্দি নেন কিভাবে?’