নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত কিশোরগঞ্জের বিএনপি সমর্থক অ্যাডভোকট শামসুদ্দিন আহমেদকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনালে-১ এ এ অভিযোগ করা হয়।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শামসুদ্দিন আবেগতাড়িত হয়ে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমার গ্রেপ্তারের বিষয়টি এখনো পরিবার ও আত্মীয়রা কেউ জানে না। তাই আমি এখনো আইনজীবী নিযুক্ত করতে পারিনি।
একই সঙ্গে অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে বলেন, ‘মহামান্য আদালত আমাকে গ্রেপ্তারের সময় ডান্ডা দিয়ে পেটানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরেও আমাকে পেটানো হয়েছে। আমি বলেছি আমাকে পেটাচ্ছেন কেনো, আমি একজন আইনজীবী। তবুও তারা আমাকে পিটিয়েছে।’
অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনের অভিযোগ শুনে আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমানকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন।’
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘এর আগে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। তবে পুলিশ হয়তো বা অন্য দাগি আসামি ভেবে এমনটা করেছে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে আদালত সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন।’
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আদালত অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও তার খাবার ও স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখতে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নির্দেশ দিয়েছেন।