ঢাকারবিবার , ৩০ নভেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সম্পূর্ণ বাংলায়!

দৈনিক পাঞ্জেরী
নভেম্বর ৩০, ২০১৪ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

programmingতথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : সম্পূর্ণ বাংলায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ। মূলত শিশু-কিশোরদের কম্পিউটার গেমস থেকে ফিরিয়ে প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করতেই তার এ প্রয়াস। তিনি এ ভাষার নাম দিয়েছেন ‘চা স্ক্রিপ্ট’।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মারক বক্তৃতায় এ উদ্ভাবনের কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের দুই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ড. আ মু জহুরুল হক ও ড. আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের স্মরণে এই স্মারক বক্তৃতামালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।
ভৌতবিজ্ঞান পর্বের বক্তা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ জানান, তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ বাংলাভাষায় একটি প্রোগ্রামিং স্ক্রিপ্টিং ভাষা চালু করেছেন। ‘চা স্ক্রিপ্ট’ নামের এই প্রোগ্রামিং ভাষাটি সম্পূর্ণ বাংলা।
সাধারণ বাংলা ভাষায় এই প্রোগ্রামিং এ নির্দেশনা ও প্রোগ্রাম লেখা যায়। প্রদর্শন পর্বে এ কম্পিউটার ভাষার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে দেখানো হয়। এছাড়া তার বক্তব্যে তিনি ‘কোডিং’ নামে একটি কম্পিউটার গেমসও দেখান যা তৈরি করেছে তার শিক্ষার্থী। এই সিস্টেমে যে কোনো শিশু কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা না জেনেই প্রোগ্রামিংয়ের আনন্দ পেতে পারে।
নোভা আহমেদ বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল কাজের পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যাবে। সেজন্য মুখস্তনির্ভর পদ্ধতি থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইন্টারেকটিভ সিস্টেমে শিক্ষিত করে তোলা দরকার। ‘কোডিং’ শিশুদের মধ্যে লজিকের ভাবনাগুলোকে সংহত করবে। অন্যদিকে, চা-স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং-এর সূচনা করতে পারবে বলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও ভবিষ্যতে প্রোগ্রামার হতে পারবে।’
বক্তৃতামালার ওপর বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। তিনি তার ‘জেনেটিক্সের ওপারে’ শীর্ষক বক্তৃতায় এপিজেনেটিক্সের সাম্প্রতিক প্রবণতা এবং এর বৈশিষ্ট্যহ তুলে ধরেন।
বক্তৃতামালার শুরুতে বিজ্ঞান ব্যক্তিত্ব জহুরুল হক ও আবদুল্লাহ আল-মুতীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আরোচনা করেন আহসানিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউল হক। সভাপতির বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ আর খান।
পঞ্চমবারের মতো আযোজিত এই বার্ষিক বক্তৃতামালার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান।
যে কেউ চাইলে http://www.chascript.com/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রোগ্রামিং ভাষাটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।