নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীতে আজ থেকে শুরু হয়েছে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম। সরকারি স্কুলগুলোতে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা www.dshe.gsa.edu.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি ৩২টি স্কুলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমেই ফরম পূরণ, জমা ও আবেদন ফরমের ফি দিতে হবে। প্রতি আবেদন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
বরাবরের মতো এবারও প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। তবে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দিতে হবে ভর্তি পরীক্ষা। ৩২টি স্কুলের মধ্যে ১৪টি স্কুলে প্রথম শ্রেণী আছে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য লটারি হবে ২৭ ডিসেম্বর। সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। অন্যান্য শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২৫ ডিসেম্বর।
এছাড়াও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ষষ্ঠ শ্রেণীতে এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
সরকারি ৩২টি স্কুলকে তিনটি গুচ্ছ করে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা হবে যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর। একই গুচ্ছের একাধিক স্কুল থেকে ভর্তি ফরম কেউ কিনতে পারবে না। একজন শিক্ষার্থী তিনটি গুচ্ছের প্রতিটি থেকে একটি করে সর্বোচ্চ তিনটি ফরম কিনতে পারবে। যে স্কুলে ভর্তি হতে আগ্রহী সেখান থেকেই ফরম কিনতে হবে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ১ জানুয়ারিতে ৫-৭ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
এদিকে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে গত বছরের মতোই দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ ও গণিতে ২০ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার পরীক্ষা নেয়া হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতনি ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ২ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষায় ও লটারিতে যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। তবে এবারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে অভিভাবকদের গুণতে হচ্ছে অন্য বছরের তুলণায় প্রায় দ্বিগুণ ভর্তি ফি ও ফরমের মূল্য। ভর্তি ফি ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা গতবার ছিল ৭০০ টাকা। ভর্তি নীতিমালায় এবারের ভর্তি ফি ও ফরমের মূল্যও দ্বিগুণ করা হয়েছে।
এবারও এলাকাভিত্তিতে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’- এই তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ গ্রুপের স্কুলগুলো হচ্ছে- গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল, ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রূপনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
‘খ’ গ্রুপের স্কুলগুলো হচ্ছে- মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গভ. মুসলিম হাইস্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলানগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল, ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী এমএ গফুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জুরাইন শেখ কামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
‘গ’ গ্রুপে রয়েছে- ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল, আরমানীটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলানগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টিকাটুলী কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ভাষানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।