আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতে শ্বশুরকে শিক্ষা দিতে ছয বছর বয়সী শালাকে অপহরণের পর হত্যা করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ২৪ বছরের প্রদীপ দিল্লির সারিতা বিহার এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। গত জানুয়ারিতে সে ওই এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এজন্য সে শ্বশুরবাড়ির সদস্যেদের দায়ি করত। সে মনে করত, তাদের অহেতুক নাক গলানোর কারণেই স্ত্রী তাকে পছন্দ করছে না।
গত মাসে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার শ্বশুড় তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সে দেখতে পায় তার ছয় বছরে শালাটি আঙ্গিনায় খেলছে। তখন তার মাথায় শ্বশুরের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার ভুত চাপে। সে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুটিকে দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করারও পরিকল্পনা করেছিল সে। কিস্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ায় তার এ পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়।
শিশু অপহরণের দায়ে পুলিশ প্রদীপকে আটক করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, অপহৃত শিশুটিকে আগ্রা খালে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেছে। এর আগে বাচ্চাটি তার কাছে এক গ্লাস পানি খেতে চেয়েছিল বারবার। কিন্তু নিষ্ঠুর প্রদীপ এক ফোঁটা পানিও তাকে দেয়নি।
এখন পুর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তারা খালটিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।