নিজস্ব প্রতিবেদক :
যে মুহূর্তে আস্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্য ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন সে সময় বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান (সিপিডি) নেগেটিভ প্রশ্ন তুলে ধরছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ এগিয়ে যাক ওই গবেষকরা তা পছন্দ করছেন বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবলায়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর নতুন রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়োদুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। স্বাধানীতা পরবর্তীকাল থেকে বাংলাদেশকে সাহায্য করে আসছে তারা। আমরা অনেক আগে থেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি করে আসছি। যা মোট রপ্তানির অর্ধেকেরও বেশি। ভবিষ্যতে আরো বেশি পণ্য রপ্তানির জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান এটিকে নেগেটিভভাবে তুলে ধরছে। বস্তুত বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক মজবুত। কোনো কোনো সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে এগিয়ে গেলে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। তখন জেএসপি সুবিধা থাকবে না। জেএসপি সুবিধা যখন থাকবে না সে ক্ষেত্রে আমরা জি প্লাস (জেএসপি প্লাস) সুবিধা নিয়ে আলোচনা করছি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের জাহাজ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে। আর ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখতে হবে।’
এসময় ইইউ’র নতুন রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়োদুন বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যে বিজনেস কাউন্সিল রয়েছে তার আদলে ইইউতেও একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ নয়, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে পারবে কি না তা নিয়ে ২৭ নভেম্বর শঙ্কা প্রকাশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর আংকটাডের তৈরি ২০১৪ সালের প্রতিবেদন প্রকাশকালে সিপিডির সম্মনিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে এ মূল্যায়ন করেন।