যশোর প্রতিনিধি :
পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমির মরদেহ ১৯ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালামের নেতৃত্বে শহরের কারবালা কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে যশোর ২৫০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বলেন, ‘লাশ উত্তোলনের সময় ডা. সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মুন্সি রুহুল কুদ্দুস, ডা. হুসাইন সাফায়েত, ডা. জেসমিন সুমাইয়াসহ লাশ উত্তোলন কমিটির কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর ধানমণ্ডির বাসায় ‘নিহত’ হন যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমি। এ ঘটনায় ডা. সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম মেয়ের শ্বশুর খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। ১৪ নভেম্বর রাতে যশোর শহরের কারবালা কবরস্থানে ডা. শামারুখের লাশ দাফন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ধানমণ্ডি থানায় পাঠানো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ময়নাতদন্তের আবেদন করেন ডা. সুমির বাবা। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে লাশ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেন।
এ নির্দেশ পেয়ে বুধবার যশোর আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার সিআইডির এএসপি মুন্সি রুহুল কুদ্দুস। একই সাথে লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য জেলা প্রশাসন ১২ সদস্যের একটি টিম গঠন করেন।