নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরেই প্রায় ৫৩ হাজার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর নাগরিক বঙ্গোপসাগর হয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে পাড়ি দিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গতকাল শুক্রবার এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
তারা বলেছে, জলপথে বিদেশ পাড়ি দেয়ার সময় নির্যাতন, অনাহার ও পানিশূন্যতায় মারা গেছে প্রায় ৫৪০ জন। মৃতদেহগুলো সাগরেই ফেলে দেয়া হয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষই মানবপাচারকারীদের নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেয়। এসব চোরাই পথে অনেক সহিংসতার ঘটনা জানার পরেও তারা নিশ্চিত জীবিকার প্রলোভনে এই ঝুঁকি নেয়।
ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াগামী মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৫৩ হাজার। এছাড়াও আরো কয়েকশ মানুষ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে গেছে।
২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত হিসাব করলে বঙ্গোপসাগর হয়ে পাড়ি দেয়া এমন মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের কম হবে না।
এভাবে অবৈধভাবে বিদেশ পৌঁছে দিতে পাচারকারীরা মাথাপিছু ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার নেয়। গত তিন বছরে এই পাচার বাণিজ্যের পরিমাণ হবে ২৫ কোটি ডলার সমমূল্যের।
এভাবে সাগর পাড়ি দিতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাদের মাঝ সমুদ্রে গিয়ে জাহাজ থেকে নৌকায় চড়তে বাধ্য করা হয়। এরা বেশিরভাগই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক।