স্পোর্টস ডেস্ক :
মৃত্যুর পরও এমন সর্বময় উপস্থিতি ছিল তার। বাউন্সারের আঘাতে হঠাৎ করে না ফেরার দেশে চলে না গেলে তো ব্যাট হাতে মাঠে নামতে পারতেন ২৫ বছরের তরুণ। কিন্তু তা আর হলো না। তবে মৃত্যু তাকে বাদ দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া দল থেকে। তাই ত্রয়োদশতম সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন ফিলিপ হিউজ।
ম্যাচ শুরুর আগেই ক্লার্ক জানালেন কিভাবে হিউজ থাকবেন তাদের মধ্যে, ‘ত্রয়োদশতম সদস্য হিসেবে আছেন হিউজ। ৬৩ মিনিট তার জন্য করোতাল দিব আমরা সবাই। আর্মব্যান্ড ও ৪০৮ নম্বর জার্সি পড়বো আমরা। ’
ম্যাচ শুরুর আগে অ্যাডিলেডের মাঠে বড় করে ৪০৮ (হিউজের টেস্ট ক্যাপ নম্বর) লেখার সামনে দাড়িয়ে পড়লেন ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। তারপর পালিত হলো হিউজের স্মৃতিরোমন্থনের পর্ব।
হিউজকে স্মরণ করা হলো যেভাবে:
১. হিউজের জীবনের উপর ৬৩ মিনিটের এক সচিত্র ভিডিও দেখানো হলো। জীবনের শেষ ইনিংসে হিউজের স্কোর ছিল ৬৩ নট আউট।
২. অজি ক্রিকেটাররা সবাই ৪০৮ নম্বর টুপি ও জার্সি পরে মাঠে নামলেন। যা ছিল ফিলিপ হিউজের টেস্ট ক্যাপ নম্বর।
৩. ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্ট সদস্যদের হাতে ছিল কালো আর্ম ব্যান্ড।
৪. ত্রয়োদশ সদস্য হিসেবে দলের সঙ্গে থাকলেন হিউজ।
৫. ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ ৬৩ রান করে ব্যাট তুললেন। সেঞ্চুরি করার পরও অশ্রুশিক্ত চোখে আকাশপানে তাকালেন আবেগী ওয়ার্নার।
আর তারই এক ফাঁকে নিরবে চোখ মুছলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। আবেগ ছুঁয়ে গেল উপস্থিত সবার হৃদয়ে। এছাড়াও গ্যালারিতে ড্রেসিংরুমে ও লবিতে ছিল হিউজের ছবি। ছিল নানা শোক বার্তা শোভিত ব্যানারও।
উল্লেখ্য, ২৫ বছর বয়সী ফিলিপ হিউজ শন অ্যাবটের বাউন্সারে আঘাতে আহত হন ২৫ নভেম্বর। আর তার ঠিক দুই দিন পর হাসপাতালে মারা যান তিনি।