ঢাকামঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্রিটিশ পাদ্রির দাবি
৪ খ্রিস্টান শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে আইএস

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৯, ২০১৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

pobdmdab
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরাকে চার খ্রিস্টান শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক ব্রিটিশ পুরোহিত। ক্যানন অ্যান্ড্রু হোয়াইট নামের ওই পুরোহিত ‘ভিকার অব বাগদাদ’ নামেই পরিচিত। সোমবার যুক্তরাজ্যের ‘দা ইনডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বাগদাদ গির্জার পুরোহিত ক্যানন হোয়াইট ‘অক্সফোর্ড ক্রিশ্চিয়ান নেটওয়ার্ক’কে জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাগদাদের নিকটবর্তী খ্রিস্টান অধ্যুষিত ছিটমহলটি দখল করে নেয়ার পর ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় আইএস। তার ভাষায়, ‘ইরাককে খ্রিস্টান শূণ্য করতেই এই হত্যাযজ্ঞে নেমেছে জঙ্গিরা। তারা বিপুল পরিমাণ খ্রিস্টানদের হত্যা করেছে। তাদের শিশুদের কেটে টুকরো টুকরো করছে। তাদের মাথা কেটে নিচ্ছে। এরপর তারা ইরাকের আরো উত্তরে চলে যায়।’ তিনি এ ঘটনাকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি নেটওয়ার্ককে বলেছেন, জঙ্গিরা ওই ছিটমহলের এক খ্রিস্টান ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলে। নইলে তারা তার বাচ্চাদের হত্যা করবে বলে ভয় দেখায়। নিজের ছেলেমেয়ের প্রাণ বাঁচাতে তিনি কলেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এ সম্পর্কে ‘ভিকার অব বাগদাদ’ আরো বলেছেন, “ওই ব্যক্তি পরে ফোনে আমাকে জানায়,‘ফাদার, আমি তো ওইসব শব্দ উচ্চারণ করেছি। তাহলে কি যীশু আমাকে আর ভালোবাসবেন না?’ উত্তরে আমি তাকে বলেছি,‘যীশু এখনো তোমাকে ভালবাসেন। তিনি সবসময় তোমাকে ভালোবাসবেন।”
ক্যানন হোয়াইট দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলেও তার চার ছেলেমেয়ে কলেমা পড়তে অস্বীকার করেছিল। তারা বলেছিল,‘না, আমরা এসব বলবো না। আমরা যীশুকে ভালোবাসি এবং সারা জীবন তার অনুসারী হয়েই থাকতে চাই।’ তখন ওই চার খ্রিস্টান শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে আইএস। নিহত শিশুদের বয়স ১৫ বছরের নিচে বলেও জানিয়েছেন ওই পাদ্রি।
ক্যানন হোয়াইট আরো জানিয়েছেন, জঙ্গিরা ওই খ্রিস্টানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল। প্রাণ ভয়ে তিনি এখন ইসরায়েলে পালিয়ে যান এবং এখন তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।