বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মানিকজোড় গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আবদুল খালেক হাওলাদার বাড়ির আঙ্গিনায় একটি চায়না কমলা গাছ রোপণ করেন দুই বছর আগে। সেই কমলা গাছে প্রায় দেড় হাজার কমলা ফলেছে। এ খবর শুনে গাছ ও কমলা দেখতে প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছে খালেক হাওলাদারের বাড়িতে। প্রতিবেশী অনেকেই এখন তার দেখাদেখি চায়না কমলা গাছের চারা রোপণ করছেন।
এ ব্যাপারে বরগুনার সোনাখালী হর্টিকালচার সেন্টারের উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. আবদুস ছত্তার মিঞা বলেন, চাষী আ. খালেকের বাড়িতে চায়না কমলা গাছের সন্ধান পেয়ে আমরা তাকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশলে চাষের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া শুরু করেছি।
বরগুনার কৃষি বিভাগের উদ্যান তত্ত্ববিদ কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায় চায়না কমলা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়ির আনাচে কানাচে পরিত্যক্ত জমিতে পরিকল্পিতভাবে এই কমলার চাষাবাদ করলে কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি জানান, আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চায়না কমলা চাষে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়। সাধারণত চায়না কমলা গাছের উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট পর্যন্ত এবং গাছ ঝোপালো হয়। গোলাকার এ ফলের কাঁচা অবস্থায় রং সবুজ এবং পাকলে উজ্জ্বল হলুদের মত হয়।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাবে এ কমলা ছোট কমলা নামে পরিচিত। সাধারণত এ গাছে মে মাসে ফল ধরে এবং নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ফল পাকে। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।