নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের গোলাপগঞ্জের কাশবনে ১৩ বছরের শিশু রিমা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এই মামলায় এর আগে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সায়াদ আহাম্মেদ ওরফে সায়াদ, রুহুল আমিন ও আতিক। এদের মধ্যে আতিক পলাতক রয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আবদুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম মবিনুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান।
সিলেটের গোপালগঞ্জের একটি কাশবনে ২০০৬ সালের ২৭ নভেম্বর শিশু রিমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন সায়াদ, রুহুল আমিন ও আতিক। পরে কাশবনে শিশুর লাশ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছিলেন গোলাপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তাপস সরকার। পরে তিনিই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার শুনানি শেষে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবুল ইসলাম তিনজনের ফাঁসির আদেশ দেন। পরবর্তীতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিপক্ষ। আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ই বহাল রাখলেন হাইকোর্ট।