ঢাকামঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দশমিনা বীজ বর্ধন খামার
আমন মৌসুমে ৬শ’ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ৯, ২০১৪ ৩:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোনালী ধানে ভরে গেছে দশমিনা বীজ বর্ধন খামার

সোনালী ধানে ভরে গেছে দশমিনা বীজ বর্ধন খামার

হাসান রেজা :
পটুয়াখালীর দশমিনায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামারে চলতি আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন ধান বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এ লক্ষ্যে ৪৮০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান বীজ বপন করা হয়। বর্তমানে খামারের চাষকৃত এলাকা সোনালী ধানগাছে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং কিছু অংশে ফসল কর্তনও শুরু হয়েছে। প্রায় তিন মাস আগে জমিতে বীজ বপন করা হয়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে ব্রি ৫২ জাতের ৫৫০ মেট্রিক টন ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে খামার এলাকায় ৪৪৫ একর জমি বপন করা হয়। বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এই জাতের ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এই জাতের ধান বীজের চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তারা। এর পাশাপাশি ২০ একর জমি চাষাবাদের মাধ্যমে ২৬ মেট্রিক টন ব্রি ধান ৫১ জাতের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ করা হয়েছে। এর ফলনও নিয়েও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত আশাবাদী। এ ছাড়া বিআর ২৩ এবং বিনা ৭ জাতের ২০ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে মোট ১৫ একর জমি চাষাবাদ করা হয় বলে জানা গেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই খামারে ফসল উৎপাদন এবং ফসল থেকে বীজ সংগ্রহে আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন করা হয়। বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় জড়িত কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে। এরপর আধুনিক ও মানসম্পন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বাছাইয়ের পর গুণগত মান পরীক্ষা করে উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এ বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ করে যথাযথ ও উপযুক্ত স্থানে সরবরাহ করা হবে।
প্রতি মৌসুমে ফসল উৎপাদন ও বীজ সংগ্রহ সংক্রান্ত বিশাল কর্মকা-ে বিপুল জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করায় তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এলাকার অর্থনীতিতে কর্মচঞ্চলতা দেখা দেয়। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই বীজ বর্ধন খামার একটি ইতিবাচক প্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, দেশে গুণগত মানসম্পন্ন ভিত্তি বীজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসি এ চাহিদা পূরণে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই খামারে উৎপাদিত উন্নতমানের বীজ চাষীর হাতে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়া আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এটি অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।