আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয়হীন মানবেতর জীবন সম্পর্কে গণমাধ্যমে অবিরত প্রচরণায় আরও তৎপর হয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জেনেভায় এক সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অধিদপ্তর UNHCR জানায়, আগামী ‘কয়েক মাসে’ পশ্চিমা ধনী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় অন্তত ১ লাখ সিরীয় শরণার্থীর পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ইরাক ও মিশরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমভাবে বিরাজ করার কারণে সিরীয় শরণার্থীরা সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে লেবানন টার্কি এবং জর্ডানে। এই তিন দেশে প্রায় ৩০ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়। এখনও পর্যন্ত ৬২,০০০ শরণার্থী পশ্চিমা পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডের আওতায় এসেছে।
দুটি বেসরকারী দাতব্য সংস্থা ‘অক্সফাম’ এবং ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ পুনর্বাসিতব্য শরণার্থীর সংখ্যা মোট শরণার্থীর অন্তত ৫ শতাংশ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে পুনর্বাসিতব্যের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে হবে ১ লাখ ৮০ হাজার।
UNHCR এর প্রধান অ্যান্তনিও গুয়েতেরেস জানান, সম্মেলনে ২৮টি দেশ সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তার ব্যাপারে একমত হয়েছে এবং আশ্রয়দাতা পাঁচ দেশের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এদিকে সম্মেলনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসিসহ প্রভাবশালী গণমাধ্যমের অনেক সাংবাদিকদের অনেকেই মনে করছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যে সকল প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে তার অধিকাংশ বড্ড ধোঁয়াটে। ইঙ্গো, মার্কিন ও উপসাগরীয় আরবরা কোন সুস্পষ্ট বিবৃতি দেয়া থেকে বিরত থেকেছে।
এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা সিরীয় শরণার্থীদের জন্যে একটি খাদ্য বিতরণ প্রকল্প পুনর্বহাল করতে চেয়েছে, যা ইতোমধ্যে গত ১ ডিসেম্বর পরিত্যক্ত হয়েছিল। তবে শর্ত আছে। অন্তর্জালিক প্রচারণার মাধ্যমে অন্তত ৮ কোটি মার্কিন ডলার অনুদানের প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা পূর্বগৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল করবেন।