নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার বলেছেন, কন্যাশিশুর উপর নির্যাতন ও ধর্ষণের মনস্তত্ব খুঁজে বের করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার কনফারেন্স রুমে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্র্যাক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ‘নারী নির্যাতন নির্মূলকরণে জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর অ্যাডভোকেসি কৌশল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিরিন আখতার বলেন, ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও সব রকম বৈষম্য দূর করতে হলে সিডও সনদ থেকে সংরক্ষণ তুলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সিডও সনদ থেকে সংরক্ষণ তুলে নিতে হবে। জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নির্মূলকরণে নারী আন্দোলনের শক্তি, তীব্রতা এবং দৃশ্যমানতা বাড়াতে হবে।’ এছাড়াও তিনি নারী নির্যাতন মোকাবিলায় পুরুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথাও বলেন।
আলোচনা সভায় রোকেয়া কবীর বলেন, ‘নারী নির্যাতনের মূল কারণ পুরুষতান্ত্রিক মতাদর্শ ও প্রতিষ্ঠান। এসবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। প্রচলিত বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ও সমন্বিত আন্দোলন দরকার।’
খুশী কবির বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো বা ব্যবস্থা নারীকে মুখ বুজে সহ্য করার অবস্থায় ঠেলে দেয়। আমাদের সমাজ-পরিবার-আইন-প্রতিষ্ঠান কোন কিছুই নারীবান্ধব নয়। এগুলোকে নারীবান্ধব করার জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আনাম বলেন, ‘নারী নির্যাতন আমাদের জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা। এই বাধা অতিক্রম করার জন্য যৌথভাবে কাজ করতে হবে। দায়মুক্তির সংস্কৃতি বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী বনশ্রী মিত্র নিয়োগী।