ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘ফিলিস্তিনি মন্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে’

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ১১, ২০১৪ ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Philistin
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি মন্ত্রী জিয়াদ আবু ইনের নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রতি আঙ্গুল তুলেছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার অভিযোগ, তারা তার মন্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। তিনি একে একটি ‘স্পষ্ট অপরাধ’ এবং ‘বর্বরোচিত ঘটনা’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
ফিলিস্তিনি মন্ত্রীসভার সদস্য জিয়াদ আবু ইন(৫৫) বুধবার পশ্চিমতীরে এক বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার শেলের আঘাতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছিল। তবে ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরায়েলের এক পুলিশ সদস্য তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে।
বুধবার রাতে মন্ত্রীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর ফাতাহ মুভমেন্ট এবং পিএলও নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বৈঠকে তিনি একটি ছবি তুলে ধরেন যেখানে দেখা যায়, আবু ইনের গলা টিপে ধরে আছে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
অল্প সময়ের মধ্যেই ছবিটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেয় ফিলিস্তিনিরা। ছবিটির নিচে ইংরেজিতে ট্যাগ করা ছিল ‘ ICantBreath’ শব্দগুলো যার অর্থ হচ্ছে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’। ছবিটির সঙ্গে নিউইয়র্কে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনার লিঙ্ক জুড়ে দেয়া হয়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার ৫৫ বছরের আবু ইন কয়েকজন ফিলিস্তিনি নেতা এবং বিদেশি মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে ইহুদি বসতি স্থাপণের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলেন। এসময় প্রায় ৩০ জন ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে টিয়ার গ্রাস নিক্ষেপ করে। এক বর্ডার পুলিশ এক হাত দিয়ে ফিলিস্তিনি মন্ত্রীর গলা চেপে ধরেন। যদিও আবু ইন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে ওই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।Philistin.jpg-
এই ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার ডায়াবেটিকস এবং ব্লাড প্রেসার ছিল বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
বুধবারের বিক্ষোভে অংশ নেয়া  আবদুল্লাহ আবু রাহমান নামের এক ফিলিস্তিনি নাগরিকের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, আবু ইন সজ্ঞা হারানোর আগে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা তাকে নিজের হেলমেট দিয়েও আঘাত করেছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই আবু ইনের মৃত্যুর আসল কারণ বেড়িয়ে আসবে। ফিলিস্তিনি, ইসরায়েলি এবং জর্দানের বেশ কয়েকজন প্যাথলজিস্ট তার ময়নাতদন্তে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি মন্ত্রী জায়িদ আবু ইনের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলের মধ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে পশ্চিম তীর।
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পশ্চিম তীরে আরো বেশ কিছু অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ পাঠিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার আবু ইনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রামাল্লার উদ্বস্তু শিবিরের কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এক ইসরায়েলি সেনা গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে এক ফিলিস্তিনি যুবক ।
p-3
মন্ত্রীর হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রামাল্লার সকল দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম তীরে ইহুদি স্থাপণার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন আবু ইন। ১৯৭৯ সালে দুই ইসরায়েলি যুবককে হত্যার দায়ে তাকে আটক করেছিল ইসরায়েলি পুলিশ। ১৯৮৫ তিনি ছাড়া পান। এরপর থেকে গত এক দশক ধরে তিনি ফিলিস্তিনি সিভিল সোসাইটি গোষ্ঠীর এক সক্রিয় নেতা হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভগুলোতে অংশ নিয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি মন্ত্রীর এই ‘বর্বরতম মৃত্যুর’ ঘটনার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার দ্রুত এবং স্বচ্ছ বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন। একই দাবি করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রও।