ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিটি নির্বাচনে ‘গুড়েবালি’, নতুন প্রশাসক নিয়োগ

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ১১, ২০১৪ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

DCCনিজস্ব প্রতিবেদক :  বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে শিগগিরই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেবে সরকার। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি, উল্টো নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন রাখাল চন্দ্র বর্মন। তিনি পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আর দক্ষিণের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শওকত মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বুধবার তাদের নিয়োগ দেয়া হয় বলে আদেশে বলা হয়।
এদিকে বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব থাকা মো. ফারুক জলিলকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে এবং দক্ষিণের প্রশাসক মো. ইব্রাহিম হোসেন খানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচন বর্জন করে তখনকার প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। জয় পান বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণ- এ দু’ভাগে ভাগ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ২৪ মে দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু উচ্চ আদালতে রিটের পর ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ১৩ মে উচ্চ আদালত নির্বাচনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা জিইয়ে থাকে। তবে ওই বছর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় ব্যাপক গণসংযোগও শুরু করেছিলেন।
এদিকে মেয়াদ শেষের পরও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র হিসেবে বহাল থাকেন। কিন্তু ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ডিসিসি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। প্রশাসকদের দিয়ে কোনো রকম কাজ চালানো হয়।
কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় ঢাকা মহানগরের উন্নয়ন কার্যক্রম ঠিকমতো চলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সিটি করপোরেশনের স্বাভাবিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। সামান্য কাজের জন্য ছুটতে হয় করপোরেশন অফিসে, যা আগে তারা স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নিজ এলাকা থেকেই পেতেন।
তবে গত সোমবার শিগগির নির্বাচনের ইঙ্গিত দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন না করে কীভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি শীতকালের মধ্যেই নির্বাচন করা যায় কি না, তা ভাবতে বলেছেন।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের মেয়াদ ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন অধ্যাদেশ-২০১৪ শিরোনামে খসড়াটি মন্ত্রিসভা ফেরত দেয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে বৈঠকে উত্থাপনের নির্দেশ দেন। প্রশাসকদের মেয়াদ বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।