লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুস্থ ও সুন্দর দাঁত পেতে পরিচর্যার বিকল্প নেই। উত্তম পরিচর্যায় চাই নিয়মিত ব্রাশ করা। কিন্তু আমরা যে ব্রাশটি ব্যবহার করছি তা স্বাস্থকর তো? আজই জেনে নিন, দাঁতের যত্নে সঠিক ব্রাশ বেছে নেয়ার উপায়।
সঠিক ব্রাশ
মাড়ির প্রকৃতি অনুযায়ী ব্রাশটি বেছে নেয়া জরুরি। নরম থেকে মধ্যম নাইলন টুথব্রাশ ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। যখন ব্রাশের শলাকাগুলো ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় চলে আসে এবং মাথাগুলো সোজা না থেকে বাঁকা হয়ে যায়, তখন আর সেটি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। সাধারণত দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত একটি ব্রাশ কার্যকর থাকে।
যেভাবে ব্রাশ করবেন
প্রতিদিন দুবার দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন। সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ধরে ব্রাশ করুন। তবে খুব বেশি সময় ধরে ব্রাশ করাও দাঁত ও পাশের মাংসের জন্য ক্ষতিকর। ব্রাশটি দাঁতের ৪৫ ডিগ্রি অবস্থানে রেখে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল থেকে শুরু করুন। দাঁতের গোড়ার দিকে খুব ধীরে অথচ শক্তভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটু ঝাঁকিয়ে সব ফাঁকের কাছে নিতে হবে। সামনের দাঁতের পেছন দিক পরিস্কার করতে হবে। মাড়ির ভেতরের দিকে দাঁতগুলোর উপরিভাগে ব্রাশ সামনে-পেছনে চালাতে হবে। এমনভাবে ব্রাশ করতে হবে, যাতে দাঁতের বাইরের অথবা ভেতরের কোনো অংশ বাদ না পড়ে। অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার পরও দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা বের হয় না। সে সব ক্ষেত্রে ডেন্টাল ফ্লস অত্যন্ত উপকারী।
যখন ব্রাশ করবেন
দিনে কম পক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো উচিৎ। এছাড়াও দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।