ঢাবি প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক দালালির নয়, বন্ধুত্বের।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।’
শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রী রক্তদানের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে। এব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রতি তির্যক দৃষ্টি হেনে ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ এবং ভারতের সম্পর্ক দালালির নয় বরং পারস্পরিক বন্ধুত্বের।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ৩০ লাখ লোকের সঙ্গে ভারতের ১১ হাজার সৈন্যও রক্ত দিয়েছিল। সেই বন্ধুত্বের পরিচয় ভারত দিয়েছিল বাংলার মানুষের চরম দুঃসময়ে। যখন পাকহানাদার বাহিনী এদেশে নির্বিচারে গণহত্যা চালচ্ছিল, যখন মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করছিল, গ্রামকে গ্রাম ছারখার করে দিচ্ছিল সেই মুহূর্তে তদানিন্তন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ রক্তদান করেছিল, সেটা স্মরণ করেই বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি এই রক্ত দান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্যদিয়ে। সেদিন (একাত্তরে) ভারতের মানুষ ১ কোটি বাঙালির সঙ্গে তাদের অন্ন ভাগ করে খেয়েছিল। তখন ভারতের প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি রাজনৈতিক দল এদেশের মানুষকে সাহায্য করে যে মৈত্রী স্থাপন করেছিল তা এখনও অটুট।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ভারতীয় হাইকমিশনারের রাজনৈতিক সচিব ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত ও মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।