সিলেট প্রতিনিধি : রাতের আঁধারে সিলেটের তারাপুর বাগানের ২০২টি চা গাছ কেটে ফেলেছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা বাগানের ম্যানেজারের বাংলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাগান ম্যানেজারের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা।
শনিবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি সিটি করপোরেশনের ময়লা-আর্বজনার একটি ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের জন্য এই জায়গা থেকে চা গাছ কাটা হয়েছে।
জানা যায়- শুক্রবার গভীর রাতে তারাপুর বাগানের ২০২টি চা গাছ কেটে ফেলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। চা গাছ কেটে ফেলতে বাগান কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেন সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ।
সকালে চা গাছ কাটার দৃশ্য দেখে বাগানের শত শত শ্রমিক ওই স্থানে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তারা ওই জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাগান ব্যবস্থাপক আতাউর রহমানের বাংলো ঘেরাও করেন।
এসময় বিক্ষোভ ও অবরোধের সংবাদ সংগ্রহ ও দৃশ্যধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন যমুনা টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি প্রত্যুষ তালুকদার ও ক্যামেরাম্যান নিরানন্দ পাল।
যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন জানান, নিরানন্দ পালের কাছ থেকে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বাগান ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান। এছাড়া সাংবাদিক প্রত্যুষ ও নিরানন্দকে মারধরও করেন।
তারাপুর বাগানের চা শ্রমিক নেতা রিপন মোদী নায়েক জানান, বাগানের জায়গা কাউকে দান করার এখতিয়ার মালিকের নেই। চা গাছ কেটে শ্রমিকদের অন্তরে কুড়াল মারা হয়েছে। শ্রমিকরা জীবন দিয়ে হলেও এই বাগান রক্ষা করবে।
বাগানের ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, ‘বাগানের মালিক কাউকে জায়গা দান করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু করার থাকে না।’ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি।
সিটি কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য তারাপুর বাগানের মালিক রাগীব আলী কিছু জায়গা দান করেছেন। ওই জায়গায় ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য কিছু চা গাছ কাটা হয়েছে।’
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, ‘বাগানের ম্যানেজার ও সাংবাদিকদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে শুনে পুলিশ তারাপুর বাগানে যায়। বাগানে গিয়ে চা গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পারেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’