আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩ ডিসেম্বর, চীনে বিশাল পরিসরে পালিত হচ্ছে চীনের শোকাবহ ‘নানকিং হত্যাকাণ্ড’ দিবস। ইতিহাসে দিবসটি ‘রেপ অব নানকিং’ নামেও পরিচিত। এই দিনে চীনের তৎকালীন রাজধানী নানকিং, বর্তমান নানজিং, জাপানী রাজকীয় সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ঘৃণ্যতম গণহত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা ও ধর্ষণের পর ইতিহাসের বৃহত্তম গণহত্যা ও ধর্ষণের ইতিহাসে ‘ম্যাসাকার অব নানকিং’, ‘রেপ অব নানকিং’ অন্যতম।
দেশটির রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন।
এ উপলক্ষ্যে চীনের রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চীন ও জাপানের সম্পর্কে এখন আর কোন বৈরিতা নেই। যারা জাপানকে প্ররোচিত করেছিল সেই সময়ে, সেই ক্ষুদ্র অংশটি এখন চীনের কাছে গুরুত্বহীন। বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলার মতো করে তাদের আদৌ গ্রাহ্য করা হয় না। তারপরও, এ দিবস চীন গভীর শোকের সঙ্গে পালন করবে। যে সব সাধারণ মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন, সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন, তাদের ক্ষতি প্রশমিত করা কখনও সম্ভব হবে না। ঐ অমর আত্মত্যাগকে স্মরণ, এবং মুক্তিকামী মানুষের চিরকালীন সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনই এখন নানকিং দিবস পালনের মূল লক্ষ্য। ঘৃণাকে দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা চীনের নেই। কিন্তু ইতিহাস ভুলে যাওয়া তো স্রেফ বিশ্বাসঘাতকতা।
চীনের সরকারী হিসাব অনুযায়ী, ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সালের জানুয়ারী অব্দি সংঘটিত নানকিং হত্যাকাণ্ডে, মাত্র এক মাসের কিছু বেশি সময়ে ৩ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। এছাড়া ধর্ষিতা হয়েছিলেন অন্তত কুড়ি হাজার চীনা নারী।