রাজশাহী প্রতিনিধি : বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে গোদাগাড়ীর মোস্তাক মাহামুদ রনিসহ তারা তিন বন্ধু। জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ ২০১৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রতিযোগিতায় এটি দ্বিতীয় সেরা প্রকল্প হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্ভাবক দলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যন্ত্রটিতে থাকবে দুটি অংশ। একটি অংশ থাকবে বিদ্যুৎ মিটারে, অপর অংশ মূল লাইনের খুঁটিতে। অবৈধ সংযোগ হলেই যন্ত্রটি খুঁটিতে থাকা শনাক্তকারী ডিভাইসের মাধ্যমে সংকেত পাঠাবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সহজেই জানতে পারবে কোন খুঁটি থেকে চোরাই সংযোগটি নেয়া হয়েছে।
যন্ত্রটির উদ্ভাবক দলের সদস্য মোস্তাক মাহমুদ রনি বলেন, আমাদের দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের একটি বড় অংশ চোরাই সংযোগের মাধ্যমে চুরি হয়ে যায়। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানেও বেগ পেতে হচ্ছে। উদ্ভাবিত যন্ত্রটি বিদ্যুৎ চুরি সমস্যা সমাধানে কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তারা দাবী করেন।
তিনি আরও বলেন, এতে সিম কার্ড ব্যবহার করা সম্ভব হলে মোবাইল ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ সংযোগের তথ্য পাওয়া সম্ভব।
দলের অন্য দুই সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মাসরুর রহমান ও আবির রায়ও প্রকল্পটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রনি আরো জানান, মাত্র ১ হাজার টাকা ব্যয়ে কার্যকারী একটি ডিভাইস তৈরি করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে খুব সহজেই বিদ্যুৎ চুরি রোধ করা যাবে। এতে সুবিধাভোগী হবে দেশের জনগণ। ইতিমধ্যেই ঢাকা পাওয়ার বিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) পাইলট প্রকল্প আকারে এটি ব্যবহারের প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে।
মোস্তাক মাহমুদ রনিসহ তিন বন্ধু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। রনির বাবা গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এনামূল হক ও মা গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন। রনি বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান।