ঢাকারবিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শীতে শিশুর সুরক্ষায় পূর্বপ্রস্তুতি

দৈনিক পাঞ্জেরী
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ ১:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

sisu-22লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা সাধারণত বড়দের তুলনায় নরম প্রকৃতির হয়। তাদের সহ্য ক্ষমতাও থাকে কম। বছরের অন্যান্য সময়ে যেমনই হোক, শীতে তাদের রাখা চাই বিশেষ যত্নে। এসময় একটু অবহেলাতে হয়ে যেতে পারে বড় ধরণের সমস্যা। শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আগে থেকেই নিতে হয় বাড়তি ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী রেজিস্টার ডা. বিশ্বজিৎ দাশ।
শিশু মায়ের পেটে উষ্ণ তাপমাত্রায় থাকে। পৃথিবীর তাপমাত্রা তার কাছে একটু বেশি ঠাণ্ডা লাগে, তাছাড়া শিশুর শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি হতেও সময় লাগে। তাই যে শিশু কিছুদিন হলো পৃথিবীতে এসেছে তাকে উষ্ণ তাপমাত্রায় রাখুন। শুকনা গরম কাপড় রাখুন সব সময়, ভেজা ডায়াপার বদলে দিন খুব দ্রুত। শিশুকে প্রতিদিন দুপুর ১২ টার মধ্যে উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। ভালোভাবে শরীর মুছে আবার গরম কাপড় পরিয়ে দিন, যাতে ঠাণ্ডা না লাগে। ত্বকের যত্নে বেবি ক্রিম বা অয়েল লাগাতে পারেন হালকা করে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, তার পরিধেয় কাপড় যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
শূণ্য থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে শুধু মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। শিশুর বয়স ছয় থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন সকালে খাওয়াতে পারেন এক চামচ তুলসী পাতার রসের সঙ্গে একটু মধু। নিয়মিত তুলসীর রস খেলে দূর হবে জ্বর জ্বর ভাব, খুশখুশে কাশি এবং সর্দি। এছাড়াও আধাগ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ মধু খাওয়াতে পারেন নিয়মিত। সর্দি কাশিতে উপকার পাবেন।
শিশু যে ঘরে থাকে তার তাপমাত্রা যেন কমপক্ষে ২৫ ডিগ্রি হয়। শিশুকে পরানোর জন্য সুতিকাপড় বেছে নিতে হবে। ঘরের বাইরে কুয়াশায় শিশুকে এইসময় বেশি খেলাধুলা করতে দেয়া ঠিক নয়। হাত মোজা, পা মোজা এবং মাথায় টুপি দিয়ে দিন, বিশেষ করে সকালে ও রাতে। যেসব শিশু কোনো কারণে বুকের দুধ পায় না, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিতান্তই সর্দির সমস্যা হয়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।