নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় একটি নিবন্ধ প্রকাশের প্রেক্ষিতে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকার ও ওই পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল নয়টায় তাদেরকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের আট সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সোমবার ‘প্রধান বিচারপতি বেছে নেওয়া’ শীর্ষক ওই নিবন্ধটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী।
নিবন্ধটিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোকপাত করেন মিজানুর রহমান খান।
আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালতে মিজানুর রহমানের লেখার ওপর তিনজন আইনজীবী মতামত দেন। তারা হলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাটর্নি জেনারেল। আবেদনকারীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
তারা তাদের এরকম লেখা আদালত অবমাননার মধ্যে পড়ে বলে মতামত দেন।
বলেন, ‘আজ প্রথম আলোতে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে মিজানুর রহমান যে লেখাটি লিখেছেন তা পড়ে পরোক্ষভাবে বোঝা যায়, এ নিবন্ধের কারণে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।’
তার কলাম পড়ে বোঝা যায়, তিনি জনগণকে বুঝিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হিসেবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো বিচারপতির যোগ্যতা হয়নি। তার লেখাটা গর্হিত এবং আদালত অবমাননার শামিল।’
নিউ এজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদন সম্পাদ ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে, মিজানুর রহমানের ‘আগাম জামিন’ প্রসঙ্গে লেখার কারণে আদালত তাদের তলব করেছেন। এতে কি মিডিয়ার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে না- সাংবাদিদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমান বারবার আদালত প্রসঙ্গে লিখে যাচ্ছেন এবং তার লেখা আদালত অবমাননার শামিল হয়ে যাচ্ছে। অতএব তার বিরুদ্ধে আদালত কোনো আদেশ দিলে সেটা সকল মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে না।’